Showing posts with label কুশিয়ারা নিউজ. Show all posts
Showing posts with label কুশিয়ারা নিউজ. Show all posts

Wednesday, 15 October 2025

গোলাপগঞ্জে শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ৩য় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ৮ নভেম্বর

গোলাপগঞ্জে শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ৩য় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ৮ নভেম্বর

ফাইল ছবি


গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছে শিক্ষা ও সমাজসেবী সংগঠন 'শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট'। ট্রাস্টের ৩য় মেধাবৃত্তি এ পরীক্ষা আগামী ০৮ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে উপজেলার চন্দরপুরে আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলাব্যাপী প্রায় ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করে আসছে শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। গত দুই বছরের সফল আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারের তৃতীয় পর্বকে ঘিরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।

আসন্ন পরীক্ষাকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে ফরম বিতরণ কার্যক্রম। বিদ্যালয়ভিত্তিক ফরম বিতরণ ও শিক্ষকবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আজ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মেধাবৃত্তি পরীক্ষার উপ-নিয়ন্ত্রক আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হামিদ এবং মেধাবৃত্তি পরীক্ষার সচিব সালমান কাদের দিপু।

পরিদর্শনকালে সকল বিদ্যালয় প্রধানগণ ও শিক্ষকবৃন্দ মেধাবৃত্তি পরীক্ষার এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াবে এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব জাগ্রত করবে।”

শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক ফজলু বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও পুরস্কার প্রদান করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করাই ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য বলেও জানান তিনি। 

তিনি আসন্ন পরীক্ষার সফলতার জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।




Tuesday, 14 October 2025

কাবাডিতে জেলা চ্যাম্পিয়ন আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দরপুর

কাবাডিতে জেলা চ্যাম্পিয়ন আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দরপুর



ক্রীড়া প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় কাবাডি খেলায় দেখিয়েছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার তারা জেলা পর্যায়েও ছিনিয়ে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।

গত ২২শে সেপ্টেম্বর উপজেলা পর্যায়ে দক্ষিণভাগ এ.সি. বিদ্যালয়কে হারিয়ে আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এরপর ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ের ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয় জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ সেই খেলায় আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় ৬ পয়েন্টের ব্যবধানে জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে জেলা চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে এই অর্জনকে ঘিরে চলছে আনন্দের জোয়ার। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরো বড় অর্জনের অনুপ্রেরণা যোগাবে।

আগামীকাল ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিভাগীয় পর্যায়ের কাবাডি প্রতিযোগিতা, যেখানে জেলার প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেবে আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় চন্দরপুর টিম। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দলের সফলতার জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
গোলাপগঞ্জে বিএমএসএফ’র নবগঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

গোলাপগঞ্জে বিএমএসএফ’র নবগঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত




গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির প্রথম সভা গত ১৩ অক্টোবর (সোমবার) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। জিবি টেলিভিশনের হল রুমে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমএসএফ গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ বদরুল আলম।

সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। কোরআন তিলাওয়াত করেন বিএমএসএফ গোলাপগঞ্জের সহ-সভাপতি ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আহমদ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাকেল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক সালমান কাদের দিপু, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক তামিম আহমদ প্রমুখ।

বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, “আমরা সবসময় সাংবাদিকদের কল্যাণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানবসেবার কাজে নিবেদিত থাকবো।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-দপ্তর সম্পাদক ইমন আহমদ, সদস্য আফসার আহমদ, সদস্য তানিম আহমদ, সদস্য লিমন আহমদ প্রমুখ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মোঃ বদরুল আলম নবগঠিত কমিটির কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সকল সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বিএমএসএফ গোলাপগঞ্জ সর্বদা সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নীতি ও দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অগ্রসর হবে।”

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শেষে নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।

Sunday, 12 October 2025

গোলাপগঞ্জে বিএমএসএফের কমিটি গঠন: সভাপতি বদরুল, সম্পাদক আলম

গোলাপগঞ্জে বিএমএসএফের কমিটি গঠন: সভাপতি বদরুল, সম্পাদক আলম



গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) উপজেলা শাখার কমিটি গঠন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক জৈন্তাবার্তার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ বদরুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন দৈনিক তৃতীয়মাত্রার উপজেলা প্রতিনিধি শাহ আলম। এসময় নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি অনুমোদনের জন্য বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলেন সভাপতি: মোঃ বদরুল আলম (দৈনিক গণমুক্তি ও দৈনিক জৈন্তাবার্তা প্রতিনিধি), সিনিয়র সহ-সভাপতি: আব্দুল মুমিত রনি (GB Television) সহ-সভাপতি: আব্দুল্লাহ আহমদ (দৈনিক যায়যায়দিন), সহ-সভাপতি  আব্দুল আজিজ বাবর (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার), সাধারণ সম্পাদক: শাহ আলম (দৈনিক তৃতীয়মাত্রা), যুগ্ম সম্পাদক: সালমান কাদের দিপু (কুশিয়ারা নিউজ), সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ হোসেন (দৈনিক সিলেটের সংবাদ), সহ-সাধারণ সম্পাদক  সৈয়দ রাসেল (দৈনিক ইনকিলাব),অর্থ সম্পাদক এম. ফাহিম আহমদ (এন টিভি), সাংগঠনিক সম্পাদক: সাকেল উদ্দিন (দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (দৈনিক জনতার খবর ও দৈনিক সিলেট সমাচার ) তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: হাবিবুর রহমান (দৈনিক সোনালী কণ্ঠ), দপ্তর সম্পাদক: মোঃ তামিম আহমদ (জিবি বার্তা),সহ-দপ্তর সম্পাদক: ইমন আহমদ (হলি সিলেট), সদস্যরা হলেন আফছার আহমদ (জিবি টেলিভিশন), 
তানিম আহমদ (জিবি বার্তা ডটকম), লিমন আহমদ (দৈনিক লিখনী)।

সভায় বক্তারা বলেন, বিএমএসএফ বরাবরই মফস্বল সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। নতুন এই কমিটি গোলাপগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের পেশাগত উন্নয়ন ও ঐক্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Tuesday, 30 September 2025

গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক আব্দুল আহাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক আব্দুল আহাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত


গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল আহাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর পৌর শহরের চৌমুহনী নূর ম্যানশনের সামনে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে ও গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি ও অনলাইন প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বিলাল আহমদের সভাপতিত্বে ও গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-গোলাপগগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক আব্দুল জলিল, সাবেক সভাপতি শহিদুর রহমান সুহেদ, সাংবাদিক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইকবাল হোসেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল সেলিম, গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম লিলু, অটোরিকশা শাখার সহসভাপতি আবুল লেইস, গোলাপগঞ্জ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি আইন উদ্দিন, হিউম্যান হলার মালিক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশীদ, সমাজসেবী আব্দুল হামিদ আনা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কামাল আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ কাদির, ব্যবসায়ী রাহেল আহমদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী রাজা মিয়া প্রমুখ।


এসময় বক্তারা বলেন,'সাংবাদিক আব্দুল আহাদ সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব। তার উপর পরিকল্পিতভাবে পুলিশ পরিচয়ে 'মব' সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা  চালানো হয়। হামলার সাথে জড়িত সেলিম হাসান কাওছারসহ জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।'

বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আব্দুল আহাদের ওপর হামলাকারীদের যদি পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা না হয় তাহলে বৃহৎ পরিসরে কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।'

মানববন্ধনে গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সর্বস্থরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক আব্দুল আহাদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক আব্দুল আহাদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত



সিলেটের গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক আব্দুল আহাদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় চৌঘরি বাজারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় যৌথভাবে পরিচালনা করেন সুলতানা মাহমুদ ও শিপু আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতান আহমদ মজনু এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মাহতাব উদ্দিন।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মফিজুর রহমান স্বপন, অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম. আব্দুল জলিল, সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন মাহমুদ, গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিলাল আহমদ, মওদুদ চৌধুরী সুমন, শাকিল আহমদ চৌধুরী, কাশেম ছামী, সাহেদ আহমদ, আব্দুল মান্নান, মামুনুর রশীদ, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

বক্তারা সাংবাদিক আব্দুল আহাদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। তারা হামলাকারী কাওসারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা—গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বদরুল আলম, শাহ আলম, জেলয়ার হোসেন স্বপন, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ইমন আহমদ, সৈয়দ রাসেল আহমদ, শামিল হোসেন, হুমায়ুন কবির তামিম, ডিএইচ মান্না, কে এম আব্দুল্লাহ, রিমন আহমদ, ফাহিম আহমদ, সাকেল উদ্দিন, অলিউর রহমান তামিমসহ আরও অনেকে।

সভায় ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে সাংবাদিক আব্দুল আহাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ মানববন্ধনে গোলাপগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

শেষে সমাপনী বক্তব্যে সুলতান আহমদ মজনু এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কাওসারকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান। সভা শেষে উপস্থিত এলাকাবাসী হামলাকারীর গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

Monday, 29 September 2025

সাংবাদিক আব্দুল আহাদের ওপর হামলার ঘটনায় গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক ও বণিক সমিতির নিন্দা

সাংবাদিক আব্দুল আহাদের ওপর হামলার ঘটনায় গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক ও বণিক সমিতির নিন্দা


সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আব্দুল আহাদের ওপর সন্ত্রাসী  হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক সমাজের নেতৃবৃন্দ ও গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

গতকাল রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতি, গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি ও গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ৮টায়  বণিক সমিতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) গোলাপগঞ্জ থানা-সহ সিলেটের বিভিন্ন থানার মামলার আসামি ও কথিত সাংবাদিক সেলিম হাসান কাওছার কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে পুলিশ  পরিচয়ে মব সৃষ্টি করে গোলাপগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতা  সর্বজন  সমাদৃত আব্দুল আহাদের ওপর হামলা ও তাকে হেনস্তা করে। এছাড়া পরিকল্পিতভাবে ঘটনার ভিডিও ধারন করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক সমাজ ও ব্যবসায়ী সমাজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

বক্তারা বলেন, একজন  প্রবীণ সাংবাদিকের ওপর এ ধরনের আচরণ দেশের সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। আমরা এ ঘটনার ইন্ধনদাতাসহ জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 


সভায় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিলাল আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সহ-সাধারন সম্পাদক ছালেক উদ্দিন, সদস্য সেলিম আহমদ, মাছুম আহমদ, শহীদুর রহমান সুহেদ, কাওছার আহমদ, সোহেল আহমদ, নাজিম আহমদ, নাছির উদ্দিন, শাকিল আহমদ। 

কর্মরত  সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এম আব্দুল জলিল, মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপন, ইমরান আহমদ, মোহাম্মদ বদরুল আলম, জাহিদ উদ্দিন, সৈয়দ রাসেল, সাইদুর রহমান, সাকেল উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ইমন আহমদ, তামিম আহমদ, ফাহাদ হোসাইন, মোঃ শাহ আলম, ফাহিম আহমদ, তামিম আহমদ,দেলওয়ার হোসেন মান্না,আব্দুল আজিজ বাবর, সামিল হোসেন, দেলওয়ার হোসেন মাহমুদ, কে এম আব্দুল্লাহ, সালমান কাদির দিপু প্রমুখ।

Wednesday, 13 August 2025

চন্দরপুর আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

চন্দরপুর আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি



সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুরে অবস্থিত আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক (ভাইভা) উভয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। বেতন আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে।

যোগ্য প্রার্থীদেরকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সাম্প্রতিক ছবি এবং মোবাইল নম্বরসহ আবেদনপত্র প্রধান শিক্ষক, আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় চন্দরপুর, ডাক: চন্দরপুর, উপজেলা: গোলাপগঞ্জ, জেলা: সিলেট বরাবর জমা দিতে হবে।


বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

বিজ্ঞপ্তি

Sunday, 25 May 2025

ফ্রেন্ডস সার্কেলের পক্ষ থেকে আল-এমদাদ ডিগ্রী কলেজে সিসি ক্যামেরা স্থাপন

ফ্রেন্ডস সার্কেলের পক্ষ থেকে আল-এমদাদ ডিগ্রী কলেজে সিসি ক্যামেরা স্থাপন


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে আল এমদাদ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটিতে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হন জায়েদুল ইসলাম শিপু। তরুণ এ সমাজকর্মী বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত হওয়ায় এলাকার সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গসহ তার সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধবগণ ব্যাপক খুশি হন। এ উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা স্মারক স্বরূপ পুরো কলেজ ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তার সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধবগণ। তাদের এ উদ্যোগে ইতোমধ্যে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় চলে এসেছে। এতে কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরোও জোরদার হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মানিক মিয়া, আবুল হোসেন,  মাসুক মিয়া-সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য সালমান কাদের দিপু, জায়েদুল ইসলাম শিপুর সহপাঠী তারেক আহমদ ও জাফর আহমদ মান্না।

কলেজ ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় জায়েদুল ইসলাম শিপু ও তার সহপাঠী বন্ধুবান্ধবদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন, এবং আগামীতেও তারা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সর্বদা এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত সকলের মঙ্গলকামনা করেন। এসময় উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকগণও তাদের প্রশংসা করে সকলের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।

এসময় জায়েদুল ইসলাম শিপুও তার সহপাঠী, বন্ধুবান্ধবদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

Sunday, 23 March 2025

সিলেটে ধানক্ষেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সিলেটে ধানক্ষেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার


সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ধান ক্ষেত থেকে মাখন মিয়া  (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

২২ মার্চ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১২ টায় উপজেলার আইলাকান্দি গ্রামের বাড়ীর পাশে ধানক্ষেতে শরীরে জখম ও রক্তমাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মাখন মিয়ার বর্তমান ঠিকানা তাজপুর ইউনিয়নের আইলাকান্দি গ্রামে হলেও স্থায়ী ঠিকানা একই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ শে মার্চ  রাত ১১ টার সময় প্রয়োজনীয় কাজে মাখন মিয়া বাড়ী হতে বেড় হন। রাতভর বাড়ীতে না আসায় তার  স্ত্রী রেনু বেগম আত্মীয়স্বজনকে বিষয়টি অবগত করেন। সকালবেলা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দুপুরে বাড়িরপাশে ধানক্ষেতে জুতা এবং রক্ত দেখে মামাতো ভাই ফটিক মিয়ার সন্দেহ হলে পাশেই ধানক্ষেতে  মাখন মিয়াকে খুজেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি ধান ক্ষেতে রাতের আধারে কে বা কারা হত্যা করে মাখন মিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখে  দ্রুত  পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর) সার্কেল মো. আশরাফুজ্জামান, অফিসার্স ইনচার্য (ওসি) মো.মোনায়েম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। উদ্ধারকৃত লাশটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 
গোলাপগঞ্জে ট্রাক চাপায় যুবকের মৃত্যু

গোলাপগঞ্জে ট্রাক চাপায় যুবকের মৃত্যু


সিলেটের গোলাপগঞ্জে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত যুবকের নাম মামুন আহমদ (২৪)। সে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউপির সিংপুর পাঁচামাইল গ্রামের মাহবুবুর রহমান টেফন মিয়ার  ছেলে।

শনিবার ( ২২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার হেতিমগঞ্জ চৌমুহনীর অদূরে রফিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মামুন আহমদ নিজ বাড়ি থেকে উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারে মোটরসাইকেলে আসার পথে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর এলাকার নয়া মসজিদের পাশে আশা মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক মামুন আহমদকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে তাকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল ইবনে সিনায় নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুন আহমদের মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

Saturday, 22 March 2025

রাজনীতিতে ‘হস্তক্ষেপের এখতিয়ার’ সেনাবাহিনীর নেই: নাহিদ ইসলাম

রাজনীতিতে ‘হস্তক্ষেপের এখতিয়ার’ সেনাবাহিনীর নেই: নাহিদ ইসলাম


রাজনীতি নিয়ে কোনো ‘প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার’ সেনাবাহিনী কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার রাতে দলের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, "নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার, জনগণ ও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

“সেনাবাহিনী বা রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য বা পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এ ধরনের চর্চা যেন বাংলাদেশে না হয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবেই হবে এবং সামনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই আমরা উত্তরণ করতে চাচ্ছি।"

শুক্রবার রাতে বাংলা মোটর রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকে দলটি।

আওয়ামী লীগের 'পরিশীলিত' নেতাদের নিয়ে নতুন করে দলটি গোছানোর জন্য দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রচেষ্টা চলছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের এই অংশটি।

সংবাদ সম্মেলনে এনসপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আজ থেকে সাত মাস আগে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছিল। আমাদের আশা ছিল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গেছে।

“কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। বিদেশি শক্তিগুলো অনেক সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ নিয়ে এসব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টি শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করছে।”

লিখিত বক্তব্যে নাহিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

"আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। আমরা তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই। আওয়ামী লীগের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।"


তিনি বলেন, "এনসিপি মনে করে বিচারিক কার্যক্রমের পরিণতি দৃশ্যমান হতে হবে। কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন ছাড়া আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যেকোনো ধরনের তৎপরতা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল।

“এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিশ্চয়তা চায়। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এ মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করবে।”

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি রাজনৈতিক দল কেন নিষিদ্ধ থাকবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ বলেন, "আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়; বরং এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পরাজয় ঘটেনি।

“দল হিসাবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রেজিম বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ বলেন, “ বিচার অনিষ্পন্ন রেখে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার যেকোনো ধরনের আলোচনা ও প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাখ্যান করে। আওয়ামী মতাদর্শ, দল ও মার্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬ জুলাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

“ফলে দল ও মতাদর্শ হিসাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদের সব সহযোগী ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।" 

ক্যান্টনমেন্টে কী ঘটেছিল?

এনপিপির সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "গত ৫ অগাস্টের পর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন সময় দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু ১১ মার্চের সাক্ষাতের প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। আমাদেরকে সেখানে আহ্বান জানান হয়েছিল। অপর প্রান্তে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।”

সেনা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যে আলাপ হয়েছে, তা ফেইসবুকেই স্পষ্ট করা হয়েছে উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, "এটা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বলে আমরা মনে করছি। রাজনীতির ঘটনা প্রবাহ রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত।

“কিছু দিন আগে সেনাপ্রধানের একটা বক্তব্য আপনার লক্ষ্য করেছেন। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এটাকে অশোভন হিসেবে ধরা হয়েছে। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে যেভাবে এড্রেস করা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।”

নিরাপত্তার ঝুঁকি অনুভব করছেন কিনা, এমন প্রশ্নে হাসনাত বলেন, "ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যতক্ষণ ঐক্যবদ্ধ, ততক্ষণ নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি অনুভব করছি না।

“আওয়ামী লীগ যে একটা গণহত্যা চালাইছে, সে এটাই স্বীকার করে নাই। তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। সেজন্য আমরা বলছি, আগে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, দল হিসেবে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অপরাধ স্বীকার করতে হবে, তারপর অন্য কোনো আলোচনা হইলে হইতে পারে। এর আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা অসম্ভব, ইম্পসিবল।"

একাত্তর প্রসঙ্গ

এনসিপি ২০২৪ সালের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিচার নিয়ে কী ভাবছে- এমন প্রশ্নে নাহিদ বলেন, "আমরা জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে অনেক বেশি কনসার্ন। কারণ একাত্তরের গণহত্যার বিচার নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন আসছে। সেটা আমাদের পুরাতন প্রজন্মের দায়।

“আমরা একাত্তরের পরে একাত্তরে সংগঠিত গণহত্যার বিচার নিষ্পন্ন করতে পারি নাই। রাজনৈতিক প্রশ্নগুলোর সমাধান করতে পারিনি। এরকম পরিস্থিতির যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য আমরা আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে খুবই কঠোর অবস্থানে। এবং এই বিচারটা আমরা নিষ্পন্ন দেখতে চাই। ৭১ থেকে শুরু করে বাংলাদেশে যত গণহত্যা হয়েছে, সব বিচারই আমরা চাই। তবে রাজনৈতিকভাবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ।"

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়।

গত অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা চেয়ে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তখনকার সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ রিট আবেদন করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে।

পরে এ বিষয়ে একই বক্তব্য আলাদাভাবে ফেইসবুকে পোস্ট করে তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আদেশ চেয়ে রিট আবেদন করা হয়নি। তারা দুটো রিট আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে। সেখানে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার’ কথা বলা হয়েছে।

এর মধ্যে সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসনাতের দেওয়া ফেইসবুক পোস্ট ঘিরে নতুন করে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ‘দাবি’।

ফেইসবুক পোস্টে হাসনাত অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে সেনা প্রশাসন তাদের ‘চাপ দিচ্ছে’।

তার এ দাবির বিষয়ে অবশ্য সেনা সদর কিংবা আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

হাসনাতের পোস্টের পর শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এদিন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ পুরনো দল, এখন সেই দলের যারা অপরাধী, অপরাধের বিচার হলে তারপরে তারা জনগণের কাছে গিয়ে, জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয় সেখানে তো আমাদের কিছু বলার নেই।”
হাসনাত ও আসিফের বক্তব্যে রাজনীতিতে উত্তাপ

হাসনাত ও আসিফের বক্তব্যে রাজনীতিতে উত্তাপ


সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ এনেছেন, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বোমা ফাটিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তার দাবি, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হোক, ‘তা চাননি’ সেনাপ্রধান।

তাদের এমন বক্তব্যের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়; সড়কে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে অন্য দিনের তুলনায় বেশি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে একটি ঝটিকা মিছিল করেছে ‘ছাত্রলীগ’।


আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরাসরি কোনো অবস্থান প্রকাশ না করে বিএনপি বলছে, ক্ষমতাচ্যুত দলটির রাজনীতিতে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ‘জনগণ’।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ ‘মেনে নেবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, “জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।


“আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।”

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দলের নেতা হাসনাতের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেছেন, রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে প্রস্তাব বা হস্তক্ষেপের এখতিয়ার সেনাবাহিনী বা রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। এ ধরনের চর্চা যাতে বাংলাদেশে আর না হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের মত রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চালানোর অধিকারের বিষয়টি ‘জনগণের রায়ের’ ওপর ছেড়ে দিতে হবে। আইন করে বা চাপিয়ে দিয়ে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা ‘ভালো বার্তা বহন করে না’।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন বলেন, “কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানুষের কাছে কোন দল রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে কিনা সেটা মানুষ তার গণতান্ত্রিক মতামতের যে প্রক্রিয়া, সেটি সুষ্ঠুভাবে হলে জানান দিতে পারে, কোন দলকে সে চায়, কোন দলকে চায় না।

“গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামতের ওপর নির্ভর করতে হয়। আইন করে বা চাপিয়ে দিয়ে সেটা করাটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভালো বার্তা বহন করে না।”

হাসনাতের বক্তব্যের বিষয়ে জোবাইদা নাসরীন বলেন, “ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে মন্তব্য দেওয়া কঠিন। গতকাল ও আজকের- দুদিনের রাজনৈতিক প্রবাহ অনেক বেশি ভিন্নতা ও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট বক্তব্য ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা মিছিল হয়েছে গণমাধ্যমে জেনেছি।”

তবে বিষয়টি নিয়ে সেনা সদর কিংবা আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হঠাৎ কেন আলোচনায় 

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরোর সঙ্গে আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তবে দলটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচারের আওতায় আনার কথা বলেছেন তিনি।

তার ওই বক্তব্যের পর রাতে ফেইসবুক পোস্টে সেনানিবাস থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে ‘চাপ দেওয়ার’ অভিযোগ তোলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায় তিনিসহ তিনজনের কাছে সেনানিবাস থেকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে’ রাজনীতিতে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

ওই বৈঠকে ‘৪০ বছরের বেশি সময়’ সেনাবাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের মতবিরোধ ও বচসা হওয়ার কথা তুলে ধরে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এক পর্যায়ে বৈঠক শেষ না করেই তাদের চলে আসতে হয়েছে।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, “আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়–ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে–তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে।

“একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।”

ইউনূসের বক্তব্য এবং হাসনাতের ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

শুক্রবারও একই দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

এক মাসের বেশি সময় ধরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।

ওই আন্দোলনের মধ্যে ১৪ শ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে। সেসব ঘটনায় হামলার জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তার সরকারের মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে।

জুলাইয়ের সেসব নিহতের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অপরদিকে আন্দোলন দমনে ভূমিকার জন্য আওয়ামী লীগকে অনেকে এখন ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন। সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতারাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে।

এরইমধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গত ১৯ অগাস্ট হাই কোর্টে রিট আবেদন হয়েছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে। অবশ্য, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই রিট আবেদন থেকে সরে আসেন হাসনাতরা।

এদিকে, রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে শুক্রবার রাতে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতাকর্মী। মিছিল থেকে তিনজনকে আটকের কথা বলেছে পুলিশ।

কী বলেছেন আসিফ মাহমুদ

হাসনাতের বক্তব্য নিয়ে উত্তাপের মধ্যে এক ভিডিওবার্তায় অভ্যুত্থানের আরেক ছাত্রনেতা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হন, ‘তা চাননি’ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু ছাত্রনেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত মেনে নেন।

৬ অগাস্ট বঙ্গভবনে ওই বৈঠকের ঘটনাক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল ভেটোটা (আপত্তি) ছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন? হোয়াই নট এনি আদার পারসন (অন্য কেউ কেন নয়)? ড. ইউনূসের নামে মামলা আছে। তিনি একজন কনভিকটেড পারসন (দণ্ডিত ব্যক্তি)। একজন কনভিকটেড পারসন কীভাবে আসলে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে?

“উনি সরাসরি বলেছেন যে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটাকেতো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে, আওয়ামী লীগতো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দুচক্ষে দেখতে পারে না, একদম অপছন্দ করে। তো, আওয়ামী লীগ একটা লোককে একেবারে দেখতে পারছে না, বাংলাদেশেতো আলটিমেটলি ৩০-৪০ শতাংশ মানুষতো আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করে। এই ৩০-৪০ শতাংশ মানুষের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে একটা লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত’?”

আসিফ মাহমুদ বলেন, “সেনাপ্রধান লাস্ট, আমার মনে পড়ে আমাদের বলেছিলেন, ‘আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিচ্ছি’।”

কী লিখেছেন হাসনাত

সেনানিবাস থেকে আসা প্রস্তাবের বিষয়ে হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, “আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়–ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে–তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে।

“একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।”

হাসনাত লিখেছেন, “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

“আমাদেরকে আরো বলা হয়–রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।”

সেনা কর্মকর্তাদের এমন প্রস্তাবের বিরোধিতার কারণে বৈঠকে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বচসা হয় বলে ফেইসবুকে পোস্টে দাবি করেছেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি লিখেছেন, “আমাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন। এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরনের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’।

“আলোচনার এক পর্যায় বলি–যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কিভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর অ্যাটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ইনক্লুসিভ ইলেকশন হবে না’।

“উত্তরে বলি, আওয়ামী লীগের সাথে কোনো ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে। আওয়ামী লীগ ফেরানোর চেষ্টা করা হলে যে সংকট তৈরি হবে, তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। পরে- মিটিং অসমাপ্ত রেখেই আমাদের চলে আসতে হয়।”

এরপর শুক্রবার রাতে এনসিপির ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনেও ফেইসবুক পোস্টে লেখা ঘটনার একটি বর্ণনা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

নতুন দলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, "গত ৫ অগাস্টের পর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন সময় দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু ১১ মার্চের সাক্ষাতের প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। আমাদেরকে সেখানে আহ্বান জানান হয়েছিল। অপর প্রান্তে ঊর্ধ্বতন ও কর্মকর্তারা ছিলেন।

সেনা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যে আলাপ হয়েছে তা ফেইসবুকেই ‘স্পষ্ট করা হয়েছে’ মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, "এটা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বলে আমরা মনে করছি। রাজনীতির ঘটনা প্রবাহ রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত।”

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে সেনাপ্রধানের একটা বক্তব্য আপনার লক্ষ্য করেছেন। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এটাকে অশোভন হিসেবে ধরা হয়েছে। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে যেভাবে অ্যাড্রেস করা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।”

এই ঘটনার পর নিরাপত্তার ঝুঁকি অনুভব করছেন কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, "ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যতক্ষণ ঐক্যবদ্ধ, ততক্ষণ নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি অনুভব করছি না।

"আওয়ামী লীগ যে একটা গণহত্যা চালাইছে, সে এটাই স্বীকার করে নাই। তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা বোধ নেই। সেজন্য আমরা বলছি আগে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, দল হিসেবে বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অপরাধ স্বীকার করতে হবে, তারপর অন্য কোনো আলোচনা হইলে হইতে পারে। এর আগে আওয়ামী লীগের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা অসম্ভব, ইম্পসিবল," বলেন হাসনাত।

রাজনীতিক ও বিশ্লেষকদের ভাষ্য

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে কিনা, তা চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে চালানো হত্যাযজ্ঞের বিচারের পরে নির্ধারণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “অনেক কথা উঠছে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না। যারা গণহত্যা চালালো তাদের বিচার হবে কিনা? কারা চালিয়েছে এটা কি মানুষ দেখেনি? কোন পুলিশ, কোন ওসি, কোন এসপি, কোন ডিসি এখানে ভূমিকা রেখেছে। কার নির্দেশে কার বলায় এই গণআন্দোলনে রক্ত ঘটানোর জন্য, এই গণআন্দোলন ধ্বংস করার জন্য, দমন করার জন্য কার নির্দেশ, আওয়ামী লীগের কোন নেতাদের নির্দেশ রয়েছে।

“আপনারা (সরকার) এদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে পারলে…আওয়ামী লীগ পুরনো দল, এখন সেই দলের যারা অপরাধী, অপরাধের বিচার হলে তারপরে তারা জনগণের কাছে গিয়ে, জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয় সেখানে তো আমাদের কিছু বলার নেই।”

শুক্রবার রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, "নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার, জনগণ ও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

“সেখানে সেনাবাহিনী বা রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিষ্ঠানের এই বিষয়ে কোন মন্তব্য বা পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। এই ধরনের চর্চা যাতে বাংলাদেশে না হয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবেই হবে এবং সামনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই আমরা উত্তরণ করতে চাচ্ছি।"

সংবাদ সম্মেলনে এনসপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আজ থেকে সাত মাস আগে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছিল। আমাদের আশা ছিল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গেছে।

“কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। বিদেশি শক্তিগুলো অনেক সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ নিয়ে এসব দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টি শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করছে।”

ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে নামা এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও ‘গণহত্যাকারী’ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

"আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। আমরা তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই। আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।"

তিনি বলেন, এনসিপি মনে করে, বিচারিক কার্যক্রমের পরিণতি দৃশ্যমান হতে হবে। কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন ব্যতীত আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যে কোনো ধরনের তৎপরতা ‘ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল’।

“এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিশ্চয়তা চায়। বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করবে।”

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি রাজনৈতিক দল কেন নিষিদ্ধ থাকবে–সেই প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়; বরং এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। নানা অপরাধের বিচার অনিষ্পন্ন রেখে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার যে কোনো ধরনের আলোচনা ও প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাখ্যান করে।”

কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে ‘না থাকার’ কথা তুলে ধরে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। এর আগে নিপীড়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে। এর চেয়ে বড় নিপীড়নের অভিযোগ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আছে, সেটাও দাবি মধ্যে আছে। আসলে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই।”

দেশে কোনো দল দেশে টিকে থাকবে কি, থাকবে না তা বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মতামতের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে বলে মন্তব্য করেন এ অধ্যাপক।

“আইন করে বা চাপিয়ে দিয়ে সেটা করাটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভালো বার্তা বহন করে না। রাজনৈতিক দলের ভিত্তি থাকে, জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ, কতটা আস্থা বহন করছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যদি জনগণের কাছে আস্থাভাজন না হয়, জনগণ যদি তাদেরকে বাতিল করে দেয়-সেটিই হবে গুরুত্বপূর্ণ।”

তার ভাষায়, একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু জনবান্ধব, জনমুখী সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।

বেড়েছে তল্লাশি

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলার মধ্যে ছাত্রলীগ ছেড়ে আসা সাবেক ছাত্রনেতা হাসনাতের দাবির বিষয়ে সেনা সদর কিংবা আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশজুড়ে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যেই ঢাকায় সেনা সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে বাড়তি টহলের পাশাপাশি তল্লাশি চৌকি বসিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী অবশ্য বলছেন, এই তৎপরতা সেনা সদস্যদের ‘নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ।’

“এটি সেনা সদস্যদের পার্ট অব ডিউটি, বাড়তি টহল বা চেকপোস্ট বলে কিছু নেই। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।”

শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় রামপুরা, শান্তিনগর, কাকরাইল, জাতীয় প্রেসক্লাব, বায়তুল মোকাররম, মহাখালী, বিজয় সরণি, গুলশান, খিলক্ষেত এলাকায় চৌকি বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের।

যৌথ বাহিনীর অভিযানের আওতায় পরিচালিত এসব চৌকিতে সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার থামিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
সিলেটে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

সিলেটে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু



সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর। নিহতের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর মোগলাবাজার থানার রয়েল সিটির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পারাবত এক্সপ্রেসের ছাদে ছিলেন ওই যুবক। এসময় অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেলে ট্রেনের চাকার নিচে কাটা পড়েন তিনি।

সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন,  খবর পেয়ে সিলেট পুলিশ ঘটানাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য যুবকের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, এখনো নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। 
সিলেট থেকে যাওয়া লন্ডনের ফ্লাইট ফিরে এলো ঢাকায়!

সিলেট থেকে যাওয়া লন্ডনের ফ্লাইট ফিরে এলো ঢাকায়!



সিলেট থেকে উড্ডয়ন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট যাত্রা বাতিল করেছে। ফ্লাইটটি মাঝপথ থেকে ফিরে এসে অবতরণ করে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

মূলত ফ্লাইটটি যাচ্ছিল লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরেরর উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় মাঝপথ থেকেই সেটি ঢাকায় ফিরে এসেছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

কামরুল ইসলাম জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০১ ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে সকাল ৯টা ৬ মিনিটে। এরপর যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু হিথ্রো বিমানবন্দরের পরিস্থিতির কারণে ফ্লাইটটি মাঝপথে ফিরতে বাধ্য হয়। আজ দুপুর পৌনে ২টায় এটি ঢাকায় এসে অবতরণ করেন।

তিনি আরও জানান, ফেরত আসা ওই ফ্লাইটে পাইলট ও কেবিন ক্রুসহ ২৬৭ জন আরোহী রয়েছেন। ঢাকায় অবতরণের পর যাত্রীদের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যস্ততম হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার সারাদিন এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি সাবস্টেশনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয় নেমে আসে। এতে শত শত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। লন্ডনের সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট অবধি বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। 
বিভাজনের পথ বেয়েই আ.লীগ আসবে: তথ্য উপদেষ্টা

বিভাজনের পথ বেয়েই আ.লীগ আসবে: তথ্য উপদেষ্টা


বিভাজনের পথ বেয়েই আওয়ামী লীগ আসবে বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যকার বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হোন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

গুরুতর কয়েকটি বিষয়ে জানতে চেয়ে পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, এস্টাবলিশমেন্ট মাস্টারমাইন্ড বানালো। আবার নিজেরাই মাস্টারমাইন্ডের বিরুদ্ধে নেপথ্য শক্তি’র অন্ধভক্তদের লেলিয়ে দিল। ছাত্রদের মধ্যকার ক্রেডিটবাজির লড়াই কারা শুরু করিয়ে দিল? নেপথ্য শক্তির ন্যারেটিভের পেছনে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট কি করছিল? বামপন্থিদের একাংশকে কারা প্রথমেই অভ্যুত্থানের শক্তি থেকে আলাদা করে ফেলল? বামপন্থিদের মুজিববাদী অংশ কিভাবে পরিপুষ্ট হলো?

তিনি আরও লিখেন, প্রথম বিতর্ক হলো- সোনার বাংলা নিয়ে। সেখান থেকে কালচারাল ওয়ার শুরু। কখন, কাকে দিয়ে সে খেলা শুরু হলো? হিযবুত গালিটা দেওয়া হলো ছাত্রদের। অথচ ছাত্রদের হিযবুত বলে ন্যারেটিভ বানিয়ে আসল হিযবুতদের পতাকাবাজি করতে হেল্প করেছিল কারা?

এসকেএস টাওয়ারে এস্টাবলিশমেন্টের হাতে এক দশকে গজানো ‘তৌহিদী জনতা’ নামধারীদের প্রথম মিটিং হলো জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা লিখেন, পরে সারা বাংলাদেশে, জেলায় জেলায়। কারা ইন্ধন জোগাল তাদের। আর কার/কাদের বিরোধিতা করল, এখনও করে যাচ্ছে? ঢাকা শহরের স্কুল কলেজে র‌্যাডিকালাইজেশনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হলো কাদের আয়োজনে? নেপথ্য শক্তির প্রোপাগান্ডু (স) এবং মিম পেজগুলো একের পর এক আক্রমণ করল অভ্যুত্থানের নেতাদের। অভ্যুত্থানের যে নেতারা শাপলা-শাহবাগের বাইনারি ভাঙতে চাইল, নতুন বন্দোবস্ত গড়তে চাইল- তাদের বিরুদ্ধে নেপথ্য শক্তি, ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট, নেপথ্য শক্তির প্রোপাগান্ডু (স), তৌহিদী জনতা নামধারীদের একসঙ্গে লেলিয়ে দিল কারা? এর বিপরীতে ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া কিভাবে ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে বিভাজন শতগুণ বাড়িয়ে দিল?

বামপন্থি-ডানপন্থি বিভাজনের জন্য বিভিন্ন মঞ্চ ও আন্দোলনের পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ল কারা এমন প্রশ্ন করে মাহফুজ আলম লিখেন, সেসব মঞ্চের পেছনে নেপথ্য শক্তি কি করছিল? অর্থ ও জনবলের উৎস কারা ছিল? বামপন্থিদের একাংশ হরেদরে কেন এ সরকারের বিরোধী হয়ে উঠল এবং মুজিববাদীদের ক্রীড়ানকে পরিণত হলো? রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ছাত্রদের নিয়ে টেনশন তৈরি করল কারা? কেন এক্স (সাবেক) কমিশনের এক সদস্য নেপথ্য শক্তির ইন্ধনে সমঝোতা করল? নেপথ্য শক্তিকে কিভাবে সাপোর্ট দেয়া হলো এডমিনে এবং ব্যবসায়ে, প্রকারাস্তরে যা ‘দেশপ্রেমিক’ নেপথ্য শক্তি আর জাতীয়’ শক্তির মধ্যে বিভাজন, সন্দেহ ও দূরত্ব তৈরি করল।

ছাত্ররা এবং অন্যান্য দলের কর্মীরা বিভিন্ন অপরাধ করছে না, তা কিন্তু নয় মন্তব্য করে তথ্য উপদেষ্টা লিখেন, জাতীয় শক্তিই বা কেন বারবার এলাইন করতে থাকল এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে? কেন তারা ছাত্র-জনতার আবেগের বিরুদ্ধে যেতে চাইল? আর এ আলাইনমেন্টের সূত্রে জাতীয় শক্তি কেন ছাত্রদের ওপর আক্রমণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিল, ডিসেম্বর অনওয়ার্ড? অলিগার্কদের টাকা কিভাবে ভাগ করা হলো, এস্টাবলিশমেন্ট, ‘বড়’ নেপথ্যশক্তি আর জাতীয়’ শক্তির মধ্যে? কিভাবে টিকিয়ে রাখা হলো সামিটসহ অন্যান্য গ্রুপের বিজনেস ইন্টারেস্ট। কিভাবে ছাত্রদের একাংশকে টেনে নেয়া হলো সেসব আর্থিক লেনদেনে। যাতে পরবর্তীতে তাদের ব্লাকমেইল করা যায়? 

তিনি আরও লিখেন, লাকি কেন হঠাৎ সামনে আসল? শাহবাগ-শাপলার দ্বন্দ্ব কেন প্রকট হলো? সব বাহিনীর মোরাল কেন এখনো ভঙ্গুর? মিডিয়াগুলোর ন্যারেটিভ কেন এত এত সাজানো ও সময়োপযোগী হয়? মুজিববাদীরা কিভাবে রিওর্গানাইজড হলো মিডিয়া আর কালচারপাড়ায়?

তদুপরি, কোন কোন এডভাইজারের পক্ষ-বিপক্ষ কখন তৈরি করা হলো? কার কার পদত্যাগ চাওয়া হলো আর কাকে কাকে ইসলামবিদ্বেষী, নাস্তিক বানানো হলো? কেনই বা বানানো হলো? উত্তর হিসাবে বিশেষ কারও নাম গুরুত্বপূর্ণ না। আর, সবই অন্যরা করল, আমাদের কোনো দোষ নেই, তাও নয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র হয়েছিল এবং এখনো চলমান! তবু, চলুন বিচার ও সংস্কারের পক্ষে কাজ করি। চলুন, শহিদ আহতদের স্পৃহা ও চৈতন্যের বাংলাদেশ তৈরি করতে আগুয়ান হই। এখনো সময় শেষ হয়নি! সবার জন্য শুধরাবার মতন সময় এখনো আছে! জুলাইয়ের মতো করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও সুযোগ রয়েছে! চলুন, ছাত্ররা এক হোন/হই আবার। আমাদের বিরুদ্ধে, এ প্রজন্মের বিরুদ্ধে, ‘বাচ্চাকাচ্চা’দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটাই সত্য! আপনারা রুখে দাঁড়ান এবং জবাবদিহি ও সুবিচারের রাষ্ট্র গঠনে আবার ঐক্যবদ্ধ হোন।

একমাত্র ছাত্র-জনতার জুলাই ঐক্যই পারবে আওয়ামী লীগের ফিরে আসাকে ঠেকিয়ে দিতে দাবি করে মাহফুজ আলম লিখেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পুরাতন বন্দোবস্তের সব কলকব্জা বিকল করেই এগোতে হবে। নাহলে কিছুই দীর্ঘমেয়াদে টিকবে না। জুলাই প্রজন্মের একাংশ এস্টাবলিশমেন্টের ফাঁদে পড়েছে, বিভিন্ন সেগমেন্টের ন্যায্য ক্ষোভকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে যাতে এস্টাবলিশমেন্ট অক্ষত থাকে। আর সেটা আছেও বটে! তাই, আমাদের প্রজন্মের সব আবেগকেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নে, বিচারের প্রশ্নে, সংস্কারের প্রশ্নে নিবদ্ধ করা এবং এস্টাবলিশমেন্টের পালটা সেটেলমেন্ট গড়ার কাজে লাগানো উচিত। জুলাই প্রজন্ম জিন্দাবাদ! ছাত্র-জনতার জুলাই ঐক্য জিন্দাবাদ। 
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর


চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর) বলেছেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যারা দল গঠন করেছে, তারাও শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট দল হতে চায়।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

গণঅভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনীকে কেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলে সাবেক ডাকসু ভিপি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ছাত্র সমন্বয়কেরা তদবির করে আওয়ামী লীগের দোসরদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে, আর দোষ চাপাচ্ছে সেনাবাহিনী ও সরকারের ওপর।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। 
আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে: নাহিদ ইসলাম

আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে: নাহিদ ইসলাম


আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। খুনিদের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিবাদী দল। তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা সরকারের নেই–অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।

তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন সময়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।  এই মাফিয়া গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে ফেরানোর যে কোনো চেষ্টাকে প্রতিহত করতে এনসিপি অঙ্গীকারবদ্ধ।

নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে। বিচার অনিষ্পন্ন রেখে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার আলোচনা বা প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। আওয়ামী মতাদর্শ বা মার্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬ জুলাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এনসিপি জাতীয় রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে ঘোষিত জুলাই সনদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিদ আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারা প্রমুখ। 
রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী: হাসনাত

রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী: হাসনাত


বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে তা রাজনীতিবিদরাই নির্ধারণ করবেন।

তিনি বলেন, দল হিসেবে আগে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দোষ স্বীকার করতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ নিয়ে অন্য কোন আলোচনা হতে পারে, তার আগে নয়।

একই সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। খুনিদের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।
 
তিনি বলেন,  আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলমান থাকবে। আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিবাদী দল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিদ আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা



থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিমসটেক জোটের শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলন ঘিরে জোর আলোচনা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে। কিন্তু, সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বৈঠকটি নিয়ে। এখনও পর্যন্ত এ বৈঠক নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দিল্লি। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ভারতের রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। 

ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা আপনারা জানতে চাইছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে শেয়ার করার মতো কোনও আপডেট নেই।

এর আগে, দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছিল, এপ্রিলের ২ থেকে ৪ তারিখ ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা যায় কিনা, ঢাকার কাছ থেকে তারা সেই প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু সেই বৈঠক হবে কিনা, ভারতের পক্ষ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এখনই দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক করাটা ঠিক হবে কিনা–তা নিয়ে ভারত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে স্পষ্টতই দ্বিধা-বিভক্তি বিরাজ করছে।   

গত বছরের সেপ্টেম্বরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দেয়নি এবং সেই বৈঠকও হয়নি। দুই নেতার মধ্যে অবশ্য মাঝে টেলিফোনে সরাসরি কথাবার্তা হয়েছে।


গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠক না করলেও একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।  নিউইয়র্কের পর দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও। এছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিও গত ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তার কাউন্টারপার্ট জসীমউদ্দিনের সঙ্গে। অর্থাৎ, দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চ্যানেলগুলো  ঠিকই চালু আছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজেও বিবিসির সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিকই আছে, সব ভালোই চলছে। কথাবার্তাও হচ্ছে।